দীর্ঘ বিরতির পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে আবারও সরব হতে যাচ্ছে জেলার ক্রীড়াঙ্গন।
এরই মধ্যে বিভিন্ন ইভেন্টের পরিষদের সম্পাদকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সভা,সমস্যা নিয়ে হয়েছে আলোচনা।
নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি না পেলে অক্টোবরের মধ্যেই অধিকাংশ ইভেন্টের খেলা মাঠে গড়াবে।
ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,আগামী ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় বিভাগ বাছাই ভলিবল লিগ।
যেখানে ছয়টি দল গ্রুপ ভিত্তিতে খেলবে।
বাছাইপর্বের এই ছয়টি দলই পরে দ্বিতীয় বিভাগ ভলিবল লিগে খেলবে।
গত ১০ মার্চ শুরু হয়েছিলো বিকেএমইএ প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ।করোনাভাইরাসজনিত কারণে ছয়টি খেলা অসমাপ্ত রয়ে গেছে।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাকি খেলাগুলো শুরু হবে।এর পরপরই শুরু হবে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ। যেখানে অংশ নেবে ছয়টি দল।
ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলও মাঠে গড়াবে।আরজিয়ান ওসমান অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন হলেও,মোনেম মুন্না স্মৃতি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ বাকি।কিছুদিনের মধ্যেই তা শুরু হবে।
জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ শুরুর কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।এতে অংশ নেবে ১৭টি দল।
হোসাইন গ্রুপ প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১৯ ডিসেম্বর।এ টুর্নামেন্ট শেষ হবে আগামী বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে দ্বিতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট লিগ এ বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৪ মার্চ। যেখানে ১২টি দল অংশ নিয়েছিল।
সেখান থেকে প্রিমিয়ার ডিভিশনের টিকিট পেয়েছে দুইটি দল।
এদিকে করোনার কারণে দীর্ঘ সময়ে ঘরোয়া লিগের খেলা না থাকায় নিরুৎসাহী হয়ে গেছেন বিভিন্ন ইভেন্টের খেলোয়াড়রা।
এমন অবস্থায় জেলার ঘরোয়া লিগ কতটা প্রতিযোগিতামূলক হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
তবে ইতিবাচক দিক হিসেবে অনেকেই মনে করছেন,লিগ শুরু করলে নিরুৎসাহিত খেলোয়াড়রা আবারও মাঠে ফিরবেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার একাধিক কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ভলিবল,বাস্কেটবল, কাবাডি,হ্যান্ডবল এ জাতীয় খেলাগুলো শিগগিরই মাঠে গড়ানোর আভাস দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু বলেন,প্রতিটি পরিষদের সম্পাদকবৃন্দ ইতিবাচক।
তারাও খেলা মাঠে গড়ানোর বিষয়ে আন্তরিক।করোনার প্রকোপ যদি নতুন করে আর বৃদ্ধি না পায় তাহলে আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি,চলতি বছরের অক্টোবরে সব ইভেন্টের খেলা মাঠে চালু হয়ে যাবে।
বেশ কয়েকটি ইভেন্টের কর্মকর্তারা সরব হয়ে উঠেছেন।দীর্ঘদিন জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন স্থাপনায় খেলার অনুশীলন না থাকায় তা জঞ্জালে পরিণত হয়েছে।
তা অপসারণ করা হচ্ছে।
তবে ক্রিকেট খেলোয়াড়রা সকাল-সন্ধ্যা দুবেলাই অনুশীলন করতে আসেন।ওসমানী স্টেডিয়ামে কারাতে,জুডো,বক্সিং,ক্রিকেটও তাইকোয়ান্দো অনুশীল চলে।
এর পাশে সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ক্রিকেট গ্রাউন্ডেও অনুশীলন করেন খেলোয়াড়রা।ক্রীড়া সংস্থার কর্মচারীদের বারণ উপেক্ষা করে করোনার সময়েও অনেকে অনুশীলন করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম নাছির বলেন,ক্রীড়াঙ্গন আবারো জেগে উঠবে।
অক্টোবর মাস থেকে মাঠে খেলা শুরু হবে।খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে প্রস্তুত।চলতি বছরের শুরুর দিকের কিছু খেলা বাকি আছে।
সেগুলোসহ নতুন খেলা শুরু হবে।অনেক খেলোয়াড়রা আসছেন।খবর নিচ্ছেন।অনেকে অনুশীলন করছেন।ক্রীড়া সংস্থার মিটিং হয়েছে।
সবকিছুই ইতিবাচক।করোনা ক্রীড়াঙ্গনের অনেক ক্ষতি করেছে।করোনাকালীন সময়ে জেলার ক্রীড়াবিদ,সংগঠক,খেলোয়ার ও রেফারি মিলিয়ে প্রায় ১৮০ জনকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
জনপ্রতি দেয়া হয়েছে নগদ ৭ হাজার টাকা।এছাড়াও খাদ্য সামগ্রীও অনেকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।